নিজস্ব নিউজ :
সৌদি আরবের জাতীয় দিবস একটি মহান দিন। যা রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পালন করা হয়। এ বছরও এটা দেশটির একত্রীকরণের ৮৯তম স্মরণে পালন করা হচ্ছে। এটি সৌদি আরবের ৮৯তম স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি মূলত সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও সৌদি আরব অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। সৌদি আরবের স্বাধীনতা দিবসে আমরা বাঙালী প্রবাসী দ্যা কক্স স্টার সোসাইটির পক্ষ থেকে উষ্ণ ফুলেল শুভেচ্ছা।
দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর সংগ্রামের পর ১৯৩২ সালের ২১ মে এক রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে আরবের বিভিন্ন অংশের একত্রিকরণের ঘোষণা দেয়া হয়। পরবর্তীতে একই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর আধুনিক সৌদি আরব গঠিত হয়। সেই থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সৌদি আরবের জাতীয় দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।
একত্রীকরণ ও স্বাধীনতা : ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর সব গোত্র ও প্রদেশ একত্রীকরণ করা হয়। সে জন্য প্রতি বছর ২৩শে সেপ্টেম্বরই সৌদি আরবের জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। এটি সৌর হিজরি সনের প্রথম দিন।
সৌদি আরবের জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি সরকার আর সেদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ এবং কক্সবাজার জেলার প্রবাসী দ্যা কক্স স্টার সোসাইটি।
সৌদি আরবের ছোট-বড় প্রতিটি নগরীতে আলাদা আলাদাভাবে জাতীয় দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী জেদ্দা সমুদ্র সৈকতে উৎসবের নানা আয়োজন করা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের সময় সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক উল্লেখ্যযোগ্য সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে যা দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান অত্যান্ত চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্কেরই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে দু’দেশের বর্তমান সরকারের আমলে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কও দিন দিন সুদৃঢ় হচ্ছে। বর্তমান সরকারের গতিশীল, সক্রিয় ও কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে ২০০৮ সাল থেকে সৌদি আরবে বন্ধ হয়ে যাওয়া শ্রমবাজার খুব সহসায় খুলেছে।
সৌদি সরকার কতৃক বাংলাদেশি শ্রমিকদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা এবং এর আওতায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের ইকামা ট্রান্সফার, পেশা পরিবর্তন, অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরির অবস্থা সংশোধন ও অবৈধভাবে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের কোন রকম জেল-জরিমানা ছাড়া সসম্মানে দেশে ফিরে যাওয়ার সুবর্ন সুযোগ, দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উম্মোচিত করেছে যা এ সরকারের কুটনৈতিক সফলতার ক্ষেত্রে একটি গুরুতকপুর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সৌদি সরকার বাংলাদেশীদের ইকামা ট্রান্সফার ও পেশা পরিবর্তনের সুযোগ উম্মুক্ত করে দেয়। এর ফলে বর্তমান সরকারের সময় সৌদি আরব থেকে বাৎসরিক রেমিটেন্স ১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে সেটা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
তাই আমরা যখন আমাদের জাতীয় দিবস উদযাপন করি, তখন সমস্ত মূল্যবোধ, নীতিমালা, ত্যাগ ও অবিরাম প্রচেষ্টাসমূহ উপস্থাপন করি, যেগুলো এ মহান অবয়ব গড়তে সহায়ক হয়েছে। এই পবিত্র ভূমি যাদের অবদানে বরকতময় ভূমিতে কল্যাণ ও শান্তি বিরাজ করছে তাদের গভীরভাবে স্মরণ করি। এই ভূমি একত্রিত হওয়ার পর এর কল্যাণ ও অগ্রগতির ধারা আর থেমে থাকেনি। বর্তমান বাদশাহ্ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের স্বর্ণযুগ পর্যন্ত অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই সমস্ত বিষয়ে সৌদি আরব যে সভ্যতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছে, তা অন্যান্য রাষ্ট্র শত শত বছরেও করতে পারেনি।
সৌদি আরবের মক্কা ও জেদ্দাভিত্তিক বাংলাদেশ প্রবাসী কক্সবাজার ভিত্তিক সংগঠনের সদস্য মাওলানা মোঃ মাসুম বিল্লাহ আল মাদানী, সাঈদ আলী আরমান, ইসমাইল চৌধুরী, এম এ মান্নান, মাহবুব আলম, হামজা আলী আরমান, রফিকুল ইসলাম সোয়াইব, তারেক সিকদার, মিজান, হারুন আরমান, মোহাম্মদ, রশিদ, ইউনুস আবু জাহারা ও ইব্রাহিম সাইদ, ডাঃ মোহাম্মদ আমিনুল হক, হাসান ও আব্দুল আজিজ মাক্কী, দ্যা কক্স স্টার সোসাইটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম চৌধুরী, ইউনুস আবু রিফাল, ইসহাক চৌধুরী ও সহ-সভাপতি আমির হোছাইন আরমান কক্সবাজার জেলার প্রবাসী দ্যা কক্স স্টার সোসাইটির পক্ষ থেকে সৌদি আরবের ৮৯তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।