কয়েক প্রজন্ম ধরে রাখাইনে বসবাস করে আসলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করে না মিয়ানমার। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাত লাখেরও বেশি মানুষ।
এরপর থেকে আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্নভাবে তাদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে কাভুসোগলু বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ করবো তারা যেন রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা জমি বা জায়গা বরাদ্দ করে, ঠিক যেমনটা আমরা করেছি সিরীয় শরণার্থীদের ক্ষেত্রে। আর এখনও সেটা বিশ্বের সবচেয়ে ভালো শরণার্থী শিবির।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যেই বোঝা বহন করছে তা ভাগাভাগি করতে এগিয়ে আসবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তিনি বলেন, এই সংকট শুরুর পর থেকেই তুরস্ক সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছে। এমনকি মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্যও মানবিক সহায়তা পাডঠিয়েছে তারা।
তিনি বলেন, তুরস্ক আশা করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে মিয়ানমার। সূ্ত্র: ডেইলি সাবাহ